নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর চৌহাট্টায় অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) মেয়র ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা চালিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপরও হামলা করে শ্রমিকরা। এতে প্রায় অর্ধশতাকি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।

বুধবার ( ১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় একটি পিস্তুলসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক যুবকের নাম ফাহাদ। সে নগরীর পীরমহল্লা এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে। এসময় তার পিস্তলের ভিতর থেকে ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যায়, সিসিকের সৌন্দর্যবর্ধন উন্নয়ন কাজ চলছে। উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ার পরপরই সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী চৌহাট্টা এলাকাস্থ ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ফুটপাত ছাড়তে রাজি হননি শ্রমিকরা। বুধবার সিসিক ফুটপাতে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করতে গেলে পরিবহন শ্রমিকরা এতে বাঁধা দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।একপর্যায়ে কাউন্সিলার ইলিয়াছুর রহমানের উপর হামলা করে এবং সিসিক শ্রমিকদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ বলেন, সরকারি রাস্তা দখল করে যানবাহন রাখা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। কিন্তু সম্প্রতি সিসিকের উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় চৌহাট্টাস্থ এলাকার অবৈধ পরিবহন স্ট্যান্ড সরানোর জন্য বলা হলেও শ্রমিকরা যানবাহন না সরিয়ে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ে সিসিকের শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকরা পুলিশের হামলা চালায়।

সিলেট জেলা বাস মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন জানান, সিসিকের একাধিক বৈঠকে আমাদেরকে বলা হয়েছে গাড়ি রাখার জন্য জায়গা দেয়া হবে। কিন্তু সিসিক তাদের কথা না রেখে আমাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইছে। চৌহাট্টাস্থ মাজার সংলগ্ন কিছু জায়গা আছে সেগুলো আমাদেরকে দেয়ার দাবি জানালেও তারা আমাদের দাবি মানছেন না। উল্টো আমাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইছেন। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাবো।