সিলেট ২রা মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২১
সুরমা মেইল ডেস্ক : চিকিৎসকের অবহেলায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তারের আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় এ দিন ধার্য করা হয়।
এদিকে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নাসরিন আক্তারের স্বামী এস এ আলম সবুজ বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। তারপর গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আমলে নেন। একই সঙ্গে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ২১ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ডা. নাসরিন, ডা. শওকত আলী আরমান, গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. দেলোয়ার হোসেন এবং সেবিকা শংকরী রানী সরকার।
মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, এস এ আলম সবুজের স্ত্রী নাসরিন আক্তার গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক অবস্থায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের ধারণা ছিল, সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু তারা সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কারো কাছে সেবাটুকু পাননি। নাসরিন আক্তারের প্রসব বেদনাকালীন সময়ে স্বামী সবুজ বারবার শংকরী রাণীকে ডাক্তার ডাকার জন্য বললেও তিনি তা কর্ণপাত করেননি। উল্টো সবুজতে শাষাতে থাকেন। বলতে থাকেন, রোগীর সুস্থ করার জন্য তিনিই যথেষ্ট। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সবুজ শংকরী রাণীকে ডাক্তার ডাকার অনুরোধ করেন। তখন শংকরী রাণী ইন্টার্নি চিকিৎসক শুভ ও নুপুরকে ডেকে আনেন।
তারা দুজন এসে জানান, সবকিছু ঠিক আছে। এরপর শংকর রাণী ডা. দেলোয়ার হোসেন ও ডা. নাসরিনকে আসার জন্য ফোন করা হয়েছে বলে জানান। কিন্তু কোন ডাক্তার আসেনি। ভিকটিম স্যালাইন, ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগের অনুরোধ করলে তারা তা করেনি। শংকরী রাণী স্যালাইন ও ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়াই ভিকটিমকে জোর করে বাচ্চা প্রসব করায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে ভিকটিম একটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। প্রায় দুই-তিন ঘণ্টা পর ডা. শওকত আলী আরমান ও ডা. দেলোয়ার হোসেন আসেন। ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের তিনি বলেন, তার হায়াত নেই। আল্লাহ নিয়ে গেছে। আপনারা দ্রুত লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।
রোগীর মৃত্যুর পেছনে তাদের কিছুট অবহেলা আছে বলে স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে বাদী পক্ষকে পাত্তা দেয় না। আসামিরা বলেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে না, পারলে মামলা করেন। গত ১৭ ডিসেম্বর বাদী ধানমন্ডি থানায় যান মামলা করতে। থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বীজিত চৌধুরী
উপদেষ্টা মো: ফয়েজ আহমদ (দৌলত)
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
উপদেষ্টা মো: মুজিবুর রহমান (ডালিম)
আইন বিষয়ক উপদেষ্টা : এড. মো: রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
নির্বাহী সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি