সিলেট ২০শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : আর কত খেলা দেখা সিলেটে ছাত্রলীগ, দিন দিন বেপরোয়া হওয়া ছাত্রলীগকে কে থামাবে বা আর কত রক্ত নিজেদের মধ্যে ঝরালে তারা শান্ত হবে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের কমিটি নিয়ে বিরোধ, এলাকাভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার, ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্ধ। বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া এখন ছাত্র লীগের প্রতিদিনের রুটিন হয়ে পড়েছে। ছাত্রলীগের লাগাতার এহেন কর্মকান্ডে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন খোদ আওয়ামী লীগের নেতারাও। এসব কর্মকান্ডের পেছনে কতিপয় নেতার মদদ থাকায় সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ছাত্রলীগের লাগাম ধরতে পারছেন না। ফলে ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ধারস্থ হতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। এক কথায় কাকের মাংশ কাক না খেলে সিলেটে ছাত্রলীগের মাংশ ছাত্রলীগই খাচ্ছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ও বিদ্রোহী পক্ষ।একই স্থান ও সময়ে উভয় পক্ষ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের পরামর্শে পুলিশের পক্ষ থেকে কমিটি প্রত্যাখানকারী বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীদের নগরীর কোথাও মিছিল-সমাবেশ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ঐ দিক জেলা ছাত্ররীগের সভাপতি সামাদ ও রিকাবিবাজারে বিদ্রোহী গ্রুপেরমাঝে সংঘর্ষ হলে অন্তত ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।২ জানুয়ারি অভ্যন্তরিণ কোন্দলের জের ধরে নগরীর মেজরটিলায় এক নেতাকে কুপিয়ে আহত করে বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা, এর জের ধরে মেজরটিলায় ছাত্রলীগের বিদ্রোহী পক্ষের আস্তানায় হামলা চালায় অপর পক্ষ। এসময় একটি সুপারশপ, দুইটি ব্যাংক ও একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একই দিন জুয়ার টাকার ভাগবাটোয়ার নিয়ে শহরতলীর বালুচরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু এবং যুব শ্রমিকলীগ নেতা সবুজ গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৬ জন আহত হন। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে টিলাগড়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরীর উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বহিস্কার করা হয়। সিলেটে ছাত্রলীগ এতোটাই বেপরোয়া এখন রাজপথে তাদেরকে নিরাপদ মনে করছেন না খোদ আওয়ামী লীগ নেতারা। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার ক্ষেত্রেও ছাত্রলীগের উপর শর্তারোপ করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যতিত আর কেউ ফুল দেয়ার জন্য শহীদ মিনারে যেতে বারণ করা হয়। আওয়ামী লীগের এই নির্দেশ মেনে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারাই কেবল শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, কেন্দ্র থেকে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী চিহ্নিত করা সম্ভব হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়। অপর দিকে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ নেতাদের বিভক্তির কারণে তা বিভিন্ন থানা ও উপজেলায় ছড়িয়ে তারাও রাজপথে হিংসাত্বক মনোভাব নিয়ে লাটি সোটা হাতেরাস্থায় বের হচ্ছে এমন ঘটনায় উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামীলীগ নেতারাও বিব্রত বলে সূত্রে জানা যায়। তবে আওয়ামীলীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা মনে করেন এখন ছাত্রলীগের এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হানাহানি চলতেই থাকবে আর এ সুযোগ কাজে লাগাবে ৩য় শক্তি ফলে বিদ্্েরাহ আরো জটিল হবে, তাই কেন্দ্রিয় নেতাদের ছাত্রলীগ নিয়ে এখনই ভাবতে হবে, হাই কমান্ডের নির্দেশনায় থাকতে হবে কঠোর থেকে কঠোরত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষনা আর দু একটি নির্দেশনা প্রয়োগ করা হলে ছাত্রলীগের লাগামা ধরা সম্ভব পর হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বীজিত চৌধুরী
উপদেষ্টা মো: ফয়েজ আহমদ (দৌলত)
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
উপদেষ্টা মো: মুজিবুর রহমান (ডালিম)
আইন বিষয়ক উপদেষ্টা : এড. মো: রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
নির্বাহী সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি