সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আবুল মোমেন বলেছেন, সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এই দুই নদী খনন করতে হবে। এ ব্যাপারেও আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমরা নদী খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী বর্ষার আগেই নদীগুলো খনন করতে হবে। সিলেটের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন খুবই আন্তরিক।
বুধবার (১৮ মে) দুপুরে সিলেট নগরীর চালিবন্দর এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে তিনি কথাগুলো বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সিলেটে এই মৌসুমে সবসময়ই ঢল নামে। আমাদের ছোটবেলায়ই এমনটি দেখেছি। কিন্তু পানি আটকে থাকতো না। চলে যেতো। কারণ আমাদের শহরেও অনেক পুকুর ও দিঘী ছিল। প্রত্যেক বাড়ির সামনে পুকুর ছিল। আর সিলেটকে বলা হতো দিঘীর শহর। কিন্তু এখন আমরা নগরীর ভেতরের সব পুকুর-দিঘী ভরাট করে বড় বড় বিল্ডিং করেছি। হাওরগুলো ভরাট করে ফেলেছি। এছাড়া প্রধান নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। খালি মাঠগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে পানি নামতে পারছে না। যে কোনো দুর্যোগেই সিলেটের জন্য এটা একটা ভয়ের কারণ।
মন্ত্রী নগরীর ভেতরের পুকুর-দিঘীসহ জলাশয়গুলো রক্ষায় সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া ড্রেনগুলো খনন করাও আরও বড় করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সিস্টেমটাকে নষ্ট করা যাবে না।
বন্যার্তদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই পানি বেশি দিন থাকবে না। দ্রুতই নেমে যাবে। ফলে কয়েকটা দিন কষ্ট করতে হবে। এই সময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।
ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুল হক। তিনি বলেন, সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকায় ২৫ লক্ষ টাকা ও ২০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত আছে। আমরা আজকে সিলেটের দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখবো। প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করবো। সবার সাথে আলাপ করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানবো। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক বছরই এই অঞ্চলে ঢল নামে। কিন্তু এবার ব্যাপক আকারে ঢল নামছে। সিলেটের উজানে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এবার বন্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
বন্যা মোকাবেলায় আগামীতে এই অঞ্চলের নদনদীগুলোর নব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। এই নদীগুলো ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চালিবন্দরে ত্রাণ বিতরণ শেষে দুই মন্ত্রী মিরাবাজার এলাকার একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন। এরপর সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি