আনন্দের বদলে আতঙ্ক, আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত: ৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ, মে ১৪, ২০২১

আনন্দের বদলে আতঙ্ক, আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর
ছবি প্রতীকী

নিজস্ব প্রতিবেদক : “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।” জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত এই গান শুনে মনে হয় ঈদ এসছে সকল মুসলিম উম্মাহের ঘরে ঘরে, আনন্দ জাগে তুলনাহীনভাবে। কবি গানের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বলেছেন, নিজেকে খুশিমনে ভেদাভেদ ভুলে বিলিয়ে দিতে বলেছেন, সকলের তরে। শান্তি আর ত্যাগের মহিমা নিয়ে বছর ঘুরে আবার এলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। ধনী-গরিব সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আনন্দ ভাগাভাগির এক অনন্য দিন আজ শুক্রবার (১৪ মে)। দিনটি সারাদেশে উদযাপিত হবে।

 

ঈদ মানেই পরম আনন্দ। ঈদ মানেই নতুন জামাকাপড়। ঈদ মানে আত্মীয়-স্বজন আর বন্ধুদের মিলনমেলা, হৈ-হুল্লোড়, ঘুরে বেড়ানো, খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডা। এ উৎসবে মুসলমানরা ঈদগাহে কোলাকুলি ও করমর্দন করে থাকেন।

 

এছাড়া সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভালোবাসার বন্ধনে সবাইকে নতুন করে আবদ্ধ করাও ঈদের অন্যতম অর্থ। ঈদ মানে ভোগান্তিকে সঙ্গী করে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে একত্রিত হওয়া। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদ আনন্দের সবকিছুতেই যেন ভাটা পড়েছে।

 

এ সম্পর্কিত সংবাদ

 

করোনার দ্বিতীয় বছর অর্থাৎ এবারের ঈদেও নেই অনাবিল আনন্দের আবহ আর খুশির জোয়ার। অদৃশ্য এক ভাইরাসে পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। গত বছরের মতো এবারও ঈদ উৎসব আনন্দ-খুশির বদলে এসেছে শঙ্কা-আতঙ্কের বার্তা নিয়ে।

 

ঈদের নামাজ একটি বড় উৎসব। এদিন ছেলে, বুড়ো, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই দল বেঁধে ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে যান। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়, করমর্দন, কোলাকুলি করেন। সকল ভেদাভেদ ভুলে হাতে হাত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নেন। কিন্তু করোনার স্বাস্থ্যবিধিতে এবারও তা হচ্ছে না। এবারের ঈদে নামাজ শেষে করা যাবে না চিরাচরিত কোলাকুলি, করমর্দন। উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম করা যাবে না। তাই ঈদের নামাজ পড়তে হবে মসজিদে মসজিদে।

 

সময় ভাগ করে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই নামাজ আদায় করতে হবে। যে এলাকায় করোনার প্রাদুর্ভাব নেই সেই এলাকায় হয়তো স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে ঈদগাহে জামাত হতে পারে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মেনে করা যাবে না কোলাকুলি, করমর্দন।

 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রথম রমজান থেকে সরকারি বিধিনিষেধ চলছে। যা ঈদের পরেও বহাল থাকছে বলে আভাস দিয়েছে সরকার। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঈদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সব ধরনের গণপরিবহন। তাই নাড়ির টানে গ্রামে গিয়ে মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে একত্র হওয়াতে ছেদ পড়েছে। যদিও সরকারি বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে নজরবিহীন ভোগান্তিকে সঙ্গী করে গ্রামের বাড়িতে গেছেন অনেক মানুষ। তবে অনেকেই কর্মস্থলে থাকছেন।

 

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তারা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ঈদ সংখ্যা ছাড়াও বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করেছে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনের প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠান।

 

সিলেটের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সুরমা মেইল ডটকম’র (www.surmamail.com) পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, সরকারী-বেসরকারী, মানবধিকার সংগঠন, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, শুভানুধ্যায়ী, সাংবাদিক, বিজ্ঞাপনদাতা ও কর্মীদের জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের ‘‘আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।”

 

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com