এমপি রতনের ছোঁয়ায় পাহারাদার থেকে কোটিপতি মিলন মেম্বার!

প্রকাশিত: ২:২৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৯

এমপি রতনের ছোঁয়ায় পাহারাদার থেকে কোটিপতি মিলন মেম্বার!

সুরমা মেইল ডেস্ক : এমপি রতনের ছোঁয়ায় বিলের পাহারাদার থেকে কোটিপতি হয়েছেন আরেক সহযোগি সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের মিলন মেম্বার। পুরো নাম মিলন কান্তি তালুকদার।

 

সে উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রামের মৃত মনিন্দ্র কান্তি তালুকদারের পুত্র।

 

সুত্র জানায়, ২০০৮ সালের পূর্বে তৎকালীন বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম জয়নাল আবেদীন এর বিলে ২ হাজার টাকা বেতনের পাহাদারের চাকুরী করতেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে হঠাৎ রাজনীতিতে আসা মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি নির্বাচিত হয়ে ফাজিলপুর মহালে টুলট্যাক্স আদায়ের নামে চাঁদাবাজির দায়িত্ব দেয়া হয় মিলনকে। মিলন পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এমপি রতনের আর্শিবাদে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।

 

একদিকে এমপি অন্যদিকে ফাজিলপুর মহালের রাজত্ব চলে আসে মিলনের হাতে। স্থানীয় চাঁদাবাজ চক্রকে সাথে নিয়ে শুরু হয় মিলনের মিশন। ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একটানা রাজত্ব করেন তিনি। অবশ্য এমপি রতনের ছোঁয়ায় মিলন হয়ে উঠেন অপ্রতিরোধ্য। কারি কারি কাঁচা টাকা রোজগার করে সিংহভাগ এমপি রতনের হাতে তুলে দিতেন। কথায় আছে ঘি আতাইলে কিছুটা হলেও হাতে লাগে। তিনি এমপি রতনের ক্ষমতা পেয়ে ফাজিলপুর খেয়াঘাটটি সরকারের কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ইজারাবিহীন ভোগ করেন প্রায় ৮ বছর।

 

২০১৬ সালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বিজয়ী হওয়ার পর পরই খেয়াঘাটটি চলে আসে জেলা পরিষদের দখলে। দখলচ্যুত হন মিলন। ২০০৬ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ফাজিলপুর এলাকায় শতাধিক ড্রেজার ও বোমা মেশিন বসিয়ে যাদুকাটা নদীর দু’তীরের পাড় কেটে শত শত একর ফসলী জমির বালি বিক্রি করে কয়েকশত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি ও তার এমপি রতন।

 

তাহিরপুর থানার তৎকালীন ওসি নন্দন কান্তি ধরের সহযোগিতায় গড়ে তুলেন রাম রাজত্ব। ক্ষতিগ্রস্থ কোন মানুষ প্রতিবাদ করলে পুলিশের ভয় দেখিয়ে চলে তাদের অপরাধের রাজত্ব।

 

সুত্র আরও জানায়, এমপি রতনের ক্ষমতার র্স্পশে থানার দালালী থেকে বৌলাই নদীর ড্রেজিং বানিজ্যে হাতিয়ে নেন কয়েক কোটি টাকা। যাদুকাটা নদীর গড়ের ঘাট, দক্ষিন কুল ও মাহতাবপুর এলাকায় বোমা ও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেন মিলন মেম্বারের সিন্ডিকেট চক্র। প্রতিটি ড্রেজার ও বোমা মেশিন থেকে প্রতি রাতের জন্য ১০-১৫ হাজার টাকা নেয়া হতো এবং প্রায় দুই শতাধিক ড্রেজার মেশিনের তান্ডবলীলায় এলাকার হুমকির মুখে পড়ে পরিবেশ এবং সন্ধার পর কোন শিক্ষার্থী শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশুনা করতে পারত না। এমনকি রাতে ঘুমাতেও পারতনা গ্রামবাসী।

 

সুত্র আরও জানায়, এমপি রতনের নাম ব্যবহার করে চাকুরী, টিআর কাবিখা, সৌরবিদ্যু, নলকুপ দেয়ার নামে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। মেয়ের নামীয় লিজা এন্টারপ্রাইজের নামে সিলেটে রয়েছে কয়েক কোটি টাকা। তাহিরপুর সোনালী ব্যাংকের তার নামে দুটি হিসাবে রয়েছে কয়েক কোটি টাকা। করেছেন বাড়ী গাড়ি। নামে বেনামে রয়েছে বহুস্থানে বহু জায়গা জমি। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরেও রয়েছে তার কোটি টাকার বাড়ী।

 

এ ব্যাপারে মিলন কান্তি তালুকদার জানান, আমি এমপি সাহেবের ব্যবসা বানিজ্য দেখাশুনা করতাম কিন্তু কোন অবৈধ পন্থায় টাকা পয়সা রোজগার করিনি। ব্যবসা বানিজ্য করেই টাকা রোজগার করেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

রাফি গার্ডেন সুপার হোস্টেল।

 

আমাদের ভিজিটর
Flag Counter

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com