এমসিতে গৃহবধূ গণধর্ষণ: ২৪ জানুয়ারি থেকে সাক্ষ্য গ্রহন শুরু

প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২১

এমসিতে গৃহবধূ গণধর্ষণ: ২৪ জানুয়ারি থেকে সাক্ষ্য গ্রহন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানসহ ৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

 

রোববার (১৭ জানুয়ারি) আসামিদের উপস্থিতিতে আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠন করে এ আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরীর আদালত।

 

মামলার চার্জশিটভুক্ত ৮ আসামি হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।

 

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রাশিদা সাইদা খানম জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী আজ শুনানিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হয়েছে।

 

এসময় আসামি মাহবুবুর রহমান রনি ও অর্জুন লস্করের পক্ষে আইনজীবীরা জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে ৮ আসামির অব্যাহতির আবেদনও খারিজ করে দেন।

 

গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

 

অভিযোগে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এই ৮ আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

 

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজ এলাকায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে আসেন এক গৃহবধূ। পরে ওই গৃহবধূকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসামিরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

 

ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। এরপরই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

এমসি কলেজের এ ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে সারা দেশ ধর্ষণবিরোধী তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। এরইমধ্যে জনদাবির মুখে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ধর্ষণবিরোধী আইন সংশোধন করে সরকার।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

রাফি গার্ডেন সুপার হোস্টেল।

 

আমাদের ভিজিটর
Flag Counter

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com