বিলাইছড়ি সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২২

বিলাইছড়ি সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

রাঙামাটি প্রতিনিধি :
রাঙামাটির দূর্গম উপজেলা বিলাইছড়ির ভারত সীমান্ত লাগোয়া বড়থলী ত্রিপুরা পাড়ায় সন্ত্রাসীর ব্রাশফায়ারে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত; চারজন আহত হয়েছেন। তবে ঘটনার ২২ ঘণ্টা পরও বুধবার (২২ জুন) বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেউ ঘটনাস্থলে যাননি।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, রাঙামাটির দূর্গম উপজেলার ভারত সীমান্ত লাগোয়া বড়থলী ত্রিপুরা পাড়ায় (সাইজান) মঙ্গলবার (২১ জুন) রাত ৮টার দিকে সন্ত্রাসীরা গ্রামটা ঘিরে ফেলে। তাদের টার্গেট খুঁজে খুঁজে এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ার করে। এ সময় সন্ত্রাসীর গুলিতে ৩ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসীরর এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ারের মধ্যে পালিয়ে বাঁচলেও এ ঘটনায় ৪ জন গ্রামবাসী গুরুতর আহত হয়।

 

নিহতরা হলেন- বৃষচন্দ্র ত্রিপুরা, সুভাষ ত্রিপুরা ও ধনরা ত্রিপুরা। এদের মধ্যে সুভাষ এবং ধনরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ইউনিয়ন সভাপতি আতু মং মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ‘কুকিচীন পার্টি’ নামের একটি নতুন সশস্ত্র সংগঠনের কর্মীরা বড়থলি ইউনিয়নের সাইজান নতুন পাড়ায় এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ার করলে ঘটনাস্থলেই ৩ জন গ্রামবাসী নিহত হন। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে ঘটনার ২২ ঘণ্টা পরও বুধবার (২২ জুন) বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেউ ঘটনাস্থলে যাননি। ঠিক কী কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।

 

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওয়েইবার ত্রিপুরাও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

 

বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, বড়থলির ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি বিলাইছড়ি থানাকে জানিয়েছি। এলাকাটি এতই দুর্গম যে, সেখানে বিলাইছড়ি থেকে তিনদিন এবং পার্শ্ববর্তী জেলা বান্দরবানের রুমা উপজেলা থেকে যেতে চাইলে দুদিন সময় লাগে। পুরো বিষয়টি রুমা জোনকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।

 

এ বিষয়ে রাঙামাটি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে পৌঁঁছানো কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। তাই আমরা এখনো নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না।

 

এদিকে ৭ জন গ্রামবাসী হতাহতের বিষয়র ‘কুকিচীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ নামের সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে।


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com