মানবতাবিরোধী অপরাধে তাহিরপুরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০১৯

মানবতাবিরোধী অপরাধে তাহিরপুরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্ত ব্যাক্তি হলেন- উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মৃত. আব্দুল মালিক এর পুত্র আমিনুল ইসলাম। তিনি জাতীয় দৈনিক সমকালের তাহিরপুর প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর এর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) তাহিরপুরের আমল গ্রহণকারী বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধের আউটা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে উপজেলার গোলকপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রৌফ, বানিয়াগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জুনাব আলী, নালেরবন্দ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী, মন্দিয়াতা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, কাউকান্দি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা করম আলীকে।

বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আসামি আমিনুল ইসলাম চিহ্নিত খুনি, লুটেরা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবারের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাদের পরিবার এলাকায় লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। অভিযুক্তর বাবা মৃত আব্দুল মালিক স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিল। অভিযুক্ত আসামি আমিনুল ইসলাম শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে সোর্সের দায়িত্ব পালন করত বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, একাত্তরের ৭ জুলাই পাক বাহিনীর সঙ্গে ট্যাকেরঘাট ৫নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের গুলাগুলির সময় পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে আসামী আমিনুল ইসলাম ও তার পিতা মৃত আব্দুল মালিক উপস্থিত থেকে শহীদ সিরাজুল হককে গুলি করে হত্যায় সহযোগীতা করে। সিরাজ হত্যায় আনন্দ করতেও অভিযুক্ত পিতা পুত্রকে দেখা যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। সেই সাথে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অভিযুক্তর পিতা আব্দুল মালিক স্বর্নালঙ্কার লোটপাটের দায়ে তাহিরপুর থানায় মামলা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে আটক করে জনসম্মুখে গাছে বেধেঁ বেধড়ক মারপিট করে। বর্তমানে এই জায়গাটি শহীদ সিরাজ লেক নামে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ঘোষনা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম এবং নাসির আফেন্দী জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী কার্যার্থে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের আদেশ দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com