যুক্তরাজ্যে ‘কিল দ্য বিল’ বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১০৭

প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২১

যুক্তরাজ্যে ‘কিল দ্য বিল’ বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১০৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাবিত বিলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১০৭ জন বিক্ষোভকারীকে। রোববার দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

 

শনিবার যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে করোনা বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে হাজার হাজার মানুষ পুলিশ, ক্রাইম, সেন্টেন্সিং অ্যান্ড কোর্টস বিল নামে প্রস্তাবিত বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে। বিক্ষোভটি পরিচিতি পেয়েছে ‘কিল দ্য বিল’ নামে।

 

যুক্তরাজ্য পুলিশ থেকে বলা হয়, ‘কিল দ্য বিল’ বিক্ষোভ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শান্তিপূর্ণ। বিক্ষোভে অংশ নেয়া বেশির ভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন। তবে অল্প কিছু মানুষ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে। সহিংস বিক্ষোভে অংশ নেয়া, পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর আক্রমণ ও করোনার স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনকারীদেরই কেবল গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

বিক্ষোভ চলাকালে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

 

প্রস্তাবিত বিলে যুক্তরাজ্য ও ওয়েলসের পুলিশ বাহিনীকে অহিংস বিক্ষোভে শর্ত আরোপের আরও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বিক্ষোভ চলাকালে শব্দ বেশি বা উপদ্রব বেশি হচ্ছে মনে হলেও ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রাখা হয়েছে বিলটিতে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হলে জেল-জরিমানাও হতে পারে।

 

ব্রিস্টল, দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডে প্রস্তাবিত বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় পুলিশ সদস্যরা আহত হন। এছাড়া একটি থানা ভাঙচুর ও পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

 

পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য, পুলিশই তাদের ওপর দমনমূলক পদক্ষেপ নেয়।

 

যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ইচ্ছাকৃতভাবেই বিক্ষোভের নাম কিল দ্য বিল দেয়া হয়েছে, যা খুবই উত্তেজক। কারণ ব্রিটেনের পুলিশ বাহিনীকে দ্য বিল নামে ডাকা হয়।

 

গত মাসে ৩৩ বছর বয়সী নারী সারাহ এভারার্ড হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বাড়তি ক্ষমতা দিয়ে বিল পাস করতে চাইছে দেশটির সরকার।

 

৩ মার্চ দক্ষিণ লন্ডনে বন্ধুর বাসা থেকে ফেরার পথে অপহরণের শিকার হন সারাহ। পরে ৫০ মাইল দূরে ইংল্যান্ডের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কেন্ট কাউন্টির এক বনভূমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

সারাহ হত্যা তদন্তের একপর্যায়ে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্ভিসের কর্মকর্তা ওয়েন কোজেনসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

রাফি গার্ডেন সুপার হোস্টেল।

 

আমাদের ভিজিটর
Flag Counter

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com