দলকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের যে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১

দলকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের যে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

সুরমা মেইল ডেস্ক : আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নির্বাচন আসছে, কাজেই দলকে আরো শক্তিশালী করে তোলার বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।

 

বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার প্রারম্ভিক ভাষণে একথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

শেখ হাসিনা বলেন, এবারের করোনাভাইরাসের সময় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেভাবে আর কোনো রাজনৈতিক দলকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি। মূলত কেউ দাঁড়ায়নি। এই ব্যাপারে অন্য দলগুলোর কোনো আগ্রহ ছিল না। তাদের কাজই ছিল প্রতিদিন টেলিভিশনে বক্তৃতা বা বিবৃতি দেওয়া এবং আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সময় সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। তবে, কখনো সরকারের একার পক্ষে এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব ছিল না।

 

তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে একটাই কারণে যে, আমাদের একটা শক্তিশালী সংগঠন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আছে। আর সেটা আছে বলেই আমরা এটা করতে সক্ষম হয়েছি। যেটা আমার বিশ্বাস।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জানি একথা কেউ হয়তো বলবেও না লিখবেও না, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এককভাবে শুধু সরকারি লোক দিয়ে সবকিছু করা সম্ভব হয় না। তারাও করেছে খুব আন্তরিকতার সঙ্গে। আমাদের প্রশাসনে যে যেখানে ছিল বা পুলিশ বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, বিডিআর, আনসার প্রত্যেকে এবং বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর্মীরা।

 

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথম দিকে একটু ভীতি ছিল কিন্তু সরকারের প্রণোদনা এবং উৎসাহে তারা কাজ করতে পেরেছে।

 

সরকার প্রধান বলেন, হাজার হাজার ডাক্তার ও নার্স আমরা নিয়োগ দিয়ে চেষ্টা করেছি করোনা মোকাবিলা করার জন্য। আবার ভ্যাকসিন কেনার ব্যাপারে আমরা সবার আগে উদ্যোগ নিয়েছি।

 

তিনি বলেন, আমাদের বিপদ হয়ে গিয়েছিল যে, ভারতে এত ব্যাপকহারে করোনা দেখা দিল যে, চুক্তি থাকা সত্ত্বেও তারা ভ্যাকসিন সাপ্লাই দিতে পারছিল না। তারপরেও আমরা পৃথিবীর যেখান থেকে পেরেছি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছি এবং এখন আর সমস্যা হবে না। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা মানুষের কোনো কাজের সুযোগ ছিল না, ঘরে বন্দি, খাবারের অভাব। সেই সময় আমাদের নেতাকর্মীরা প্রত্যেকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন।

 

এ সময় তিনি দলের বহু নেতাকর্মীর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কত মানুষকে যে আমরা হারালাম। এমন কোনো দিন নেই যে, মৃত্যুর সংবাদ না আসতো।

 

আজও কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফির স্ত্রী মারা গেছেন। তিনি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই দেশের উন্নতি হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলেই এই করোনা মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ আছে বলেই মানুষ অন্তত সেবা পাচ্ছে।

 

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ২০২১ সালে বাংলাদেশকে আমরা এই পর্যায়ে নিয়ে আসবো। সেটা আমরা করতে পেরেছি বলেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। জাতিসংঘের যে কর্মসূচি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি), সেটাও যেমন আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে ২০৪১ সাল নাগাদ কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই সেই পরিকল্পনাও আমরা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। ডেল্টা প্ল্যান করেছি অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং আশু করণীয় নির্ধারণ করে সেভাবে আমরা কাজ করেছি। যার সুফল এখন দেশের মানুষ পাচ্ছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

রাফি গার্ডেন সুপার হোস্টেল।

 

আমাদের ভিজিটর
Flag Counter

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com