সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, মে ৬, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ : জেলার দিরাই উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের বিল থেকে মাথাবিহীন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ৫ টুকরো ভাসমান লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক নারীসহ ৬ জনকে আটক করেছে র্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা।
বুধবার (০৫ মে) র্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (৪ মে) র্যাব সদস্যরা দিরাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করে তাদের। এরপর রাতেই দিরাই থানা পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, মঙ্গলপুর গ্রামের দুদু মিয়ার সঙ্গে কবির মিয়া নামক এক ব্যক্তির আর্থিক লেনদেন নিয়ে শত্রুতা ছিল। দুদু মিয়া ও তার স্বজনরা কবিরকে সামাজিকভাবে হেয় করে এবং অপমান করে। এর প্রতিশোধ নিতে কবির সহযোগীদের নিয়ে দুদুকে হত্যা করে। পরে লাশ কেটে ৬ টুকরো করে বরাম হাওরের জলাশয়ে ফেলে দেয়। তবে এ ঘটনার মূল হোতা কবিরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তার ভাই নাজমুলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরেক ঘাতক দোলন মিয়াও পালিয়ে গেছে।
আটককৃতরা হলো- ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী আল বাহার বেগম (৩৫), ভাঙ্গাডহর গ্রামের মৃত জলধর দাসের সত্যরঞ্জন দাস (৫৫), নরুত্তমপুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৫), দাউদপুর গ্রামে মৃত তোয়াহিত মিয়ার ছেলের নাজমুল হুসাইন (৪৯), নরুত্তমপুর মুসলিম উল্লাহ’র ছেলে লুৎফর রহমান (৩৫) ও ভাঙ্গাডহর গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আ. মালেক (৩০)।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল রাতে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের বিলের একটি ডোবা থেকে মাথাবিহীন ৫ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সকালে এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে লাশের ক্ষতবিক্ষত মাথা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় জানা যায়নি।
তবে পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছিলেন টুকরো টুকরো লাশগুলো মঙ্গলপুর গ্রামের নিখোঁজ দুদু মিয়ার। এর আগে ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর ২টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন দুদু মিয়া (৪১)। উদ্ধারকৃত লাশের পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখে সন্তানরা দুদু মিয়ার লাশ বলে দাবি করেন।
