নগরীর হোটেলগুলোতে দেহ ব্যবসা : চাঁদা তুলছে পুলিশ-সাংবাদিক নামধারীরা

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০১৭

নগরীর হোটেলগুলোতে দেহ ব্যবসা : চাঁদা তুলছে পুলিশ-সাংবাদিক নামধারীরা

নগরীর আবাসিক হোটেলগুলো ঘিরে দীর্ঘদিন যাবত একটি অপরাধী চক্র দেহ ব্যবসাসহ বিভিন্ন রকম অবৈধ-অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে। এর সাথে এক শ্রেণীর সাংবাদিক নামধারী লোক ও প্রশাসনের অসাধু পুলিশ এদেরকে শেলটার দিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এক সূত্র তা নিশ্চিত করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট মহানগরীর লালবাজার, ধোপাদীঘিরপাড়, সুরমা মার্কেট, বন্দরবাজার, লালদীঘিরপাড়, দক্ষিন সুরমায় অবস্থিত এসব আবাসিক হোটেলগুলোতে নিয়মিত খদ্দের হিসেবে থাকে বিভিন্ন মামলার আসামী, চোরাকারবারী ও সন্ত্রাসীরা। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানে এরা আইন বিরোধী কাজে লিপ্ত, তবুও এদেরকে শেলটার দেওয়া হয়ে থাকে। হোটেল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করে অসাধু পুলিশ ও সাংবাদিক নামধারী কিছু লোক।

হোটেলগুলোতে অবস্থান করে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত চিহ্নিত কিছু দাগী দালাল। এরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যুবতী নারী এনে এই হোটেলগুলোতে রাখে এবং তাদেরকে দিয়ে অবৈধ দেহ ব্যবসা চালায়। পুলিশ বিভাগের একটি অসাধু অংশের সাথে রয়েছে তাদের গভীর আঁতাত।

জানা যায়, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ও দক্ষিন সুরমা থানার ওসি তাদের নির্দিষ্ট দালাল দিয়ে হোটেল ও অপরাধের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরে ঘুরে চাঁদা তুলে। পুলিশের পক্ষ থেকে তারা সপ্তাহ নেন আবার হোটেলের অভ্যন্তরে অবস্থানকারী দালাল, দেহ ব্যবসায়ি নারী, সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন মামলার (ওয়ারেন্টভূক্ত) আসামীদের কাছ থেকেও চাঁদা নেন।

এই চাঁদার বিনিময়ে পুলিশ কোনো সময়েও অবৈধ ব্যবসায়ীদের বেঘাত ঘটায় না। বরঞ্চ অপরাধীদেরকে দেয় তারা নিরাপত্তা। এ ধরণের অপরাধীদের যখন পুলিশ নিরাপত্তা দেয় তখন নিরীহ সাধারণ জনগণের অবস্থা কি হবে?

এই অবৈধ অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধের পরিবর্তন ঘটাতে পারেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, এটা পূণ্যভূমি সিলেটের নাগরিকদের দাবী।

এই হোটেলগুলো থেকে দেহ ব্যবসায়ীসহ অবস্থানকারী বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শান্তির ও সামাজিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসনকেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

রাফি গার্ডেন সুপার হোস্টেল।

 

আমাদের ভিজিটর
Flag Counter

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com