নাসিকে আইভীর হ্যাট্রিক

প্রকাশিত: ৯:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২২

নাসিকে আইভীর হ্যাট্রিক

সুরমা মেইল ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বেসরকারিভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভীকে মেয়র পদে জয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

 

১৯২টি কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। ৬৯ হাজার ১০২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে নৌকা।

 

মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন সাতজন। বাকি পাঁচজন হলেন খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া)।

 

নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের সেলিনা হায়াৎ আইভী ও হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার কেউই বড় ধরনের কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেননি। তবে ইভিএমে ভোট হওয়ার কারণে বেশ কয়েটি কেন্দ্রে ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ মিলতে সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

 

এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ ও সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 

এর আগে ২০১১ সালের প্রথম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন শামীম ওসমান, বিএনপির সমর্থিত ছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপির নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান তৈমূর। নির্বাচনে এক লাখ বেশি ভোটের ব্যবধানে শামীম ওসমানকে হারান আইভী।

 

২০১৬ সালে এই সিটির দ্বিতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য তৃণমূল থেকে আইভীকে বাদ দিয়ে প্রার্থী তালিকা পাঠানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শামীম ওসমান ও আইভীকে ডেকে নিযে সমঝোতা করে দেন। মনোনয়ন পান আইভী। সেই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে ৮০ হাজারের বেশি ভোটে তিনি পরাজিত করেন।


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

রাফি গার্ডেন সুপার হোস্টেল।

 

আমাদের ভিজিটর
Flag Counter

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com