সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২১
ছাতক প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ছাতকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় খুরমা উত্তর ইউনিয়নের আমেরতল গ্রামে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশত লোকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ১৫ রাউন্ড ফাকা গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক-দোয়ারা (সার্কেল) বিলাল হোসেন, ছাতক থানার (ওসি) মিজানুর রহমান। ঘটনাস্থলে ছাতক থানা পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশের দুটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপজেলার খুরমা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদ। তার চাচাতো ভাই আওয়ালীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী অ্যাভোকেট মনির উদ্দিন মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।
ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মনির উদ্দিনের ভাতিজা রুবেল আহমদ ও বিলাল আহমেদ এর ভাগনে আব্দুল আলিম নামে দুজনের মধ্যে কথাকাটি হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- সাহেদ আহমদ (২৪) আতিক হাসান (২৬), বদরুল (২৫), পারভীন আক্তার (৪০) মরিয়ম বেগম (৫৫), মুক্তার (২৩), আমির আলি (৫৫) আবুল (৬০), রাসেল (৩০), মারুফ আহমদ (২৫), ছুরুক মিয়া(৪৫), ছায়েদ আহমদ (২৮), লিটন মিয়া (৩২), হানিফ আলি (৫০), রজব আলি (৫৩) জলাল মিয়া (৩২), শরিয়ত আলি (৪০)। অন্যান্য আহতদের নাম জানা যায়নি। গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যান্য আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতদের মধ্যে রয়েছেন খুরমা উত্তর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত সদস্য, জামিরখাই গ্রামের কয়ছর আহমদ।
তার পরিবারের দাবি, কয়ছর আহমদ সালিশ করতে গিয়েছিলেন। পুলিশ সন্দেহ করে তাকে আটক করে নিয়ে গেছে। তবে পুলিশ বলছে ভেজা কাপড়ে সবাইকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে নিরপরাদ কেউ যেনো হয়রানীর শিকার না হয় সে জন্য সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার, এএসপি সার্কেল ছাতক-দোয়ারা ও ছাতক থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কয়ছর আহমদের পরিবার।
এ বিষয়ে ছাতকের এএসপি সার্কেল ছাতক-দোয়ারা বিল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি